বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সমুদ্রে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। বলা হয়েছে, সৈকতের যেসব স্থানে লাল পতাকা টানানো আছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত—তাই এসব জায়গায় কোনোভাবেই পানিতে নামা যাবে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, কেবলমাত্র লাইফগার্ডদের তত্ত্বাবধানে থাকা নির্ধারিত সীমানার ভেতরেই সাগরে নামতে হবে। এই সীমার বাইরে গেলে বিপদের সময় দ্রুত সহায়তা পাওয়া কঠিন বা কখনো অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।
পানিতে নামার আগে জোয়ার-ভাটার সময়, সমুদ্রের বর্তমান অবস্থা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খারাপ আবহাওয়ায় বা ভাটার টান চলাকালে অসচেতনভাবে পানিতে না নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যারা সাঁতার জানেন না, তাদের সমুদ্রে নামতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও মোটেলগুলোকে পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। লাইফগার্ডের কাজে টিউব ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে এবং সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। শিশুদের সর্বদা অভিভাবকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিভাবকদের বলা হয়েছে, সন্তানকে নিয়ে সৈকতে গেলে শিশুর সদ্যতোলা ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে। এতে করে হারিয়ে গেলে তাকে দ্রুত খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। সমুদ্রের স্রোতের ধরন সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে—বিশেষত তীব্র স্রোত, ঘূর্ণি স্রোত, উল্টো স্রোত বা নিম্নগামী প্রবাহ মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। জলোচ্ছ্বাস বা অতিরিক্ত স্রোতের ফলে সমুদ্রতটে তৈরি হওয়া বালি সরে যাওয়া ফাঁকা জায়গা ও গর্ত থেকেও সাবধান থাকতে হবে।
অন্যদিকে সতর্ক করা হয়েছে, অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা না করতে। কারণ এতে উদ্ধারকাজ সফল হওয়ার বদলে নতুন প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।