দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল দিয়ে আবারও ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে দুটি চালানে মোট ৫২৫ টন চাল দেশে প্রবেশ করেছে।
চালগুলো ১৫টি ট্রাকে করে আনা হয়েছে, যার মধ্যে একটি চালানে ছিল ৩১৫ টন এবং অন্যটিতে ২১০ টন। চাল আমদানি করেছে মেসার্স হাজী মুসা করিম অ্যান্ড সন্স, এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ছিল ভারতের লক্ষ্মী ট্রেডিং কোম্পানি ও শর্মা এগ্রো লিমিটেড।
আমদানিকারক আব্দুস সামাদ জানান, “চালের বাজার দীর্ঘ সময় ধরে অস্থির ছিল। সরকার অনুমতি দেওয়ার পর দ্রুত চাল এনেছি। আশা করছি, এতে বাজারে কিছুটা স্বস্তি আসবে।”
বেনাপোল আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহাসিন মিলন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়া। যদি আমদানির প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়, তাহলে আরও বেশি চাল আনা সম্ভব হবে। সরবরাহ বাড়লে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।”
যশোরের খুচরা ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হাসান জানান, “গত কয়েক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। নতুন চাল এলে দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছি।”
পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, “যত বেশি চাল আমদানি হবে, বাজার তত দ্রুত স্থিতিশীল হবে। আমাদের ধারণা, আমদানি করা চাল বাজারে এলে পাইকারিতে দাম ৩-৪ টাকা কমতে পারে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মো. শামীম হোসেন জানান, “দুটি চালানের সব ট্রাক বন্দরে পৌঁছেছে এবং খালাস সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষে দ্রুতই চাল বাজারে পৌঁছাবে। এতে শুধু বাজারে স্বস্তি আসবে না, সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।”
গত বছর (২০২৪) বেনাপোল দিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছিল। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে নীতিগত কারণে কয়েক মাস আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে চাহিদা-সরবরাহের অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ব্যবসায়ীদের মতে, নিয়মিত আমদানির অনুমতি দিলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে এবং সরকারের রাজস্বও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
বর্তমানে খুচরা বাজারে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫–৭২ টাকায় এবং মোটা চাল ৫২–৫৭ টাকায়। পাইকারদের ধারণা, আমদানি করা চাল বাজারে এলে দাম ৩-৪ টাকা কমতে পারে।