গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দাবি করেছেন, ‘জনকণ্ঠ’ দখলের মতো ‘মাই টিভি’ দখলেও কিছু ব্যক্তি সুপরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৬ মিনিটে নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান।
নুর বলেন, মাইটিভির সঙ্গে যুক্তরা নগদ টাকা বা শেয়ার নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। এর ফলে তারা ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল মোবের মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গ্রেপ্তার করিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যাত্রাবাড়ী থানার ‘ছাত্র হত্যা’ মামলায় এক বছর পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অথচ মামলার সত্যতা প্রমাণ করা সম্ভব কি না তা বিবেচনা করা হয়নি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর আরও উল্লেখ করেন, সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে এই গ্রেপ্তার দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন রিপোর্টে উদাহরণ হিসেবে থাকবে। এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পিছিয়ে রাখতে পারে।
নুর শেষ করেছেন, ‘জনকণ্ঠ’ দখলের মতো ‘মাই টিভি’ দখলেও যারা প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় ২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোমবার আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় নাসির উদ্দীন সাথী ও তৌহিদ আফ্রিদি ২২ নম্বর এবং ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন।