ডাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটের সাত দিন আগে থেকে কোনো বহিরাগত হলে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই সময় শুধুমাত্র বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। একই দিন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু হয়।
নির্বাচনকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গঠন করা হয়েছে। প্রথম স্তরে দায়িত্ব পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল বডি ও ডিএনসিসির ২০০ সদস্য ৮টি ভোটকেন্দ্রে। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে পুলিশ। আর তৃতীয় স্তরে সেনাবাহিনী, যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে যেকোনো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবে। ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সেনারা ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, প্রচারণার কারণে শিক্ষা-গবেষণা ও নিয়মিত পাঠক্রম ব্যাহত করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে অসম্মানজনক আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীর ধর্ম, লিঙ্গ বা জাতিগত পরিচয় নিয়ে আঘাত করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়ন, আবাসিক সিট এমনকি ছাত্রত্বও বাতিল হবে। একইভাবে অনলাইনে হেইট স্পিচ বা হয়রানির ক্ষেত্রেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী যদি সচেতনভাবে অংশ নেয়, তবে ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করা সম্ভব হবে। এই নির্বাচন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, গোটা দেশের কাছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তাই সবাইকে সম্মিলিতভাবে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।”