অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বর্তমান অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে আমার স্ত্রী ব্যাংকে ফোন করেছিলেন কিছু টাকা তোলার জন্য। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, পাঁচ হাজার টাকার বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এই এক বছরের মধ্যে যদি আমরা পরিস্থিতি বদলাতে না পারি, তাহলে কীভাবে চলবে? অথচ তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে এ ধরনের ঝামেলা অনেকটাই কমে যেত।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য অচেনা দাবি তুলছে। এমন সব প্রস্তাব আনা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন শোনেনি। উদাহরণস্বরূপ, ‘সংস্কার’ বা ‘পিআর পদ্ধতি’র মতো বিষয়গুলো সাধারণ মানুষ বোঝে না। এতে ভোট দেওয়ার পরও ভোটাররা প্রার্থীকে চেনেন না। মানুষ ভেবে ভোট দিলেন সলিমুদ্দিনকে, কিন্তু পরে দেখা গেল নির্বাচিত হয়ে গেলেন কলিমুদ্দিন। এগুলো এখনো রাজনৈতিকভাবে পরিষ্কার নয়, জনগণের কাছে তো নয়ই।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “পাঁচ আগস্টের পরেই আমি বলেছিলাম, আর দেরি না করে তিন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। তখন অনেকে আমাকে আক্রমণ করে বলেছিল, আমি শুধু নির্বাচনের কথাই বুঝি, ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল অন্য জায়গায়। আমরা অতীতে দেখেছি—যখনই পরিবর্তন আসে, তখন অন্যরা সেই সুযোগকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সরকারের ভেতরে একটি মহল সচেতনভাবে গণতন্ত্রকামী শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিচ্ছে না। পত্রিকায় দেখি, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের উপদেষ্টা বা প্রতিনিধিদের ওপর আওয়ামী লীগের লোকেরা হামলা করছে। আবার আরেকটি সংবাদে পড়লাম, একজন ব্যাংক লুটেরা শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আর হাসিনা দিল্লিতে বসে সেই অর্থ কীভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করতে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন।”