দেশে লিপস্টিক ও অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী আমদানি ও বিক্রির উপর কার্যকর কোনো নজরদারি নেই। ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত এসব পণ্য বাজারে প্রচলিত মূল্যের কয়েকগুণ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরের বাইরে ভেজাল ও অতিমূল্যায়িত প্রসাধনীর ব্যবসা প্রবল হচ্ছে, যার ফলে আইন মেনে ব্যবসা করা উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছেন না।
ঢাকার গুলশানসহ অভিজাত এলাকার কসমেটিকস আউটলেটে ‘ম্যাক’সহ বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ও প্রসাধনী বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের প্রকৃত আমদানি মূল্য ৫০–১০০ টাকা হলেও ভোক্তারা কিনছেন ১ থেকে ৫ হাজার টাকায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এসব পণ্যের বৈধ আমদানির কোনো রেকর্ড নেই।
দেশীয় কসমেটিকস উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেছেন, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর দোকানগুলোতে বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলোর প্রায় সবই অবৈধভাবে আমদানি করা। ৫০ টাকার পণ্য ১০–১৫ গুণ মূল্যে বিক্রি হয়ে ৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি গুলশানের একটি আউটলেটে দেখা যায়, একটি ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এবং মেয়াদ শেষ হবে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৬। আমদানি রেকর্ড অনুযায়ী মাত্র ২ কেজি পণ্য এসেছে, যার ঘোষিত মূল্য ৪০ মার্কিন ডলার। প্রতিটি ৪ মিলি লিপস্টিকের প্রকৃত দাম সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ১৬ পয়সা হলেও একই পণ্য আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে ৪,৭০০ টাকায়। অর্থাৎ, প্রতি পিস লিপস্টিক থেকে ভোক্তা প্রায় ৪,৬৫০ টাকা বেশি দিয়ে কিনছেন।
আউটলেটের কর্মীরা জানাচ্ছেন, তারা শুধুমাত্র বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করছেন এবং নিজেরা কোনো দাম নির্ধারণ করেন না।