ইরাকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি হঠাৎ করেই দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে দুটি কৌশলগত ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার চলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ ঘাঁটি এবং রাজধানী বাগদাদের নিকটবর্তী ভিক্টোরিয়া ঘাঁটি থেকে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইরাকে মার্কিন সেনাদের জন্য এই দুটি ঘাঁটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ পদক্ষেপকে সংবাদমাধ্যমগুলো ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জানা গেছে, বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে সেনা সরানো হচ্ছে। কিছু সৈন্যকে কুর্দিস্তান অঞ্চলের এরবিলে পাঠানো হচ্ছে, আবার অন্যদের পার্শ্ববর্তী আরব দেশের ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
তবে এই দ্রুত সিদ্ধান্তের ফলে ওয়াশিংটন ও বাগদাদের মধ্যে আগে যেই ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের রোডম্যাপ নির্ধারিত হয়েছিল, সেটি কার্যত উপেক্ষিত হচ্ছে। ইরাকি সরকার জানিয়েছে, তারা প্রক্রিয়াটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অন্যদিকে সংসদ সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে—কেউ মনে করছেন ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এখন একাই পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধীরে ধীরে বিদেশি সেনাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকস্মিক এই পদক্ষেপে সেই সময়সূচি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় নতুন তাগিদ ও অগ্রাধিকার স্পষ্ট হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর কিংবা ইরাক সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।