চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনা মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘটে।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ দাবি করেছে, মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম বাঁশখালীর দারুল ইসলাহ দাখিল মাদরাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের একটি বৈঠকে হামলা চালানোর মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অন্যদিকে বিএনপি জানিয়েছে, ছাত্রশিবিরের বৈঠকে বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকেলের মারামারিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতের তিনজন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে রাতে স্থানীয় মোশাররফ আলী হাটে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। রাত ১১টার দিকে সংঘর্ষ শেষ হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়নমণি, স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক, তানভীর হাসান, ছাত্রশিবির বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন এবং জামায়াতের মো. রাকিব।
বাহারছড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাসান আজাদ বলেন, “মাদরাসা ছুটির পর পাশের মসজিদে পবিত্র কোরআন ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছাত্রদলের হামলায় আমাদের কর্মী রাকিব আহত হয়েছেন। রাতে মীমাংসার জন্য গেলে সেখানেও হামলা চালানো হয়, এতে আরও সাত-আটজন আহত হন।”
বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান আহমদ বলেন, “শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্যের কারণে ঘটনাটি শুরু হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের চার-পাঁচজন আহত হয়েছেন।”
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।”