যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক ভোটার বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, যারা গণহত্যা চলছে বলে মনে করেন তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৫১ শতাংশ নিরপেক্ষ বা দলীয়ভাবে নির্ধারিত নয়। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েল গণহত্যা করছে না, আর মাত্র ২০ শতাংশের মতে গণহত্যা হচ্ছে।
এছাড়া জরিপে প্রতি ১০ জন মার্কিন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ইসরায়েলে ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন। এটি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে কুইনিপিয়াকের ভোটার জরিপের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক যারা গণহত্যা বিশ্বাস করছেন।
ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতির দিক থেকে ভোটারদের মতামত প্রায় সমান ভাগে বিভক্ত। ৩৭ শতাংশ ভোটার ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল এবং ৩৬ শতাংশ ভোটার ইসরায়েলিদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক টিম ম্যালয় বলেন, “ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে, তবে ইসরায়েলের সামরিক তহবিলের প্রতি আগ্রহ তীব্রভাবে কমছে।”
জরিপের জন্য ১২২০ জন নিবন্ধিত ভোটারকে প্রশ্ন করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী গাজায় গণহত্যা চালানোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছে, অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।
চলতি বছরের মে মাস থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন মাধ্যমে সহায়তা বিতরণ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে। তবে বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাচ্ছে, যার ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায় অনুসারে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।