লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সমিতিরহাট-হাওলাদার সড়কে ছায়াদার প্রায় ৪০টি গাছ কোনো টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব গাছ ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজি ও যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ শেখ ভাগাভাগি করেছেন।
গাছগুলোর ক্রেতা আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে মাসুদ শেখ ৩২টি গাছ ৫৫ হাজার টাকায় আমার কাছে বিক্রি করেছিলেন। আমি সুবিধা দেখে গাছ কেটে নিয়েছি। পুরো টাকা এখনো দিতে পারিনি; ১০ হাজার টাকা মাসুদ শেখকে দিয়েছি, বাকিটা ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়ার কথা।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, “টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবুও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা যোগসাজশে গাছ বিক্রি করে অর্থ লুট করেছেন।”
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা মাসুদ শেখ দাবি করেন, “সড়ক নির্মাণের সময় গাছগুলো রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। জনগণের সুবিধার্থে চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজির অনুমতি নিয়ে বিক্রি করেছি। এখনো ক্রেতা পুরো টাকা দেয়নি। সমাজসেবার কাজে এগোতে গিয়ে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, দায় স্বীকার করছি।”
তবে চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গাছ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি আমি ইউএনওকে জানিয়েছি। ইউএনও বলেছেন, গাছগুলো কেটে এক জায়গায় রাখতে। বিক্রির বিষয়ে আমি জানি না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের কোনো গাছ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বিক্রি করার নিয়ম নেই। আমি গাছ বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানি না।”