ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ নানা প্রস্তুতিমূলক কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচনের রোডম্যাপে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রোযার আগেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে, তাই ভোটের ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে, যা অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এছাড়া নভেম্বরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আখতার আহমেদ আরও জানান, প্রতি ভোটকেন্দ্রে ৬০০ পুরুষ ও ৫০০ নারী ভোটারের সুবিধা রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং ভোটগ্রহণের ৩০ দিন আগে এই তথ্য প্রকাশ করা হবে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানিও ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার কমিশনার ও ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, রোডম্যাপে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো কখন ও কীভাবে সম্পন্ন হবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্তকরণ, নতুন রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, ব্যালট ও খাম মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্তকরণ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং নির্বাচনী প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রমের সময়সূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে রোডম্যাপে ভোটের তফসিল ও তারিখ উল্লেখ থাকবে না। এছাড়া তফসিল ঘোষণার ১০ দিন আগে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে যাতায়াত সুবিধার জন্য হেলিকপ্টার সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক প্রস্তাবও তৈরি করতে হবে।