রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলাগুলোর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন রাজউকের তিন কর্মকর্তা—উপপরিচালক মো. মাহবুবার রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল ও পরিচালক উল্লাস চৌধুরী। তারা রেহানার পক্ষ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্লট বরাদ্দের আবেদনের চিঠি এবং আসামিদের মিথ্যা হলফনামাসহ ৪৪টি জব্দ নথির বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মোহাম্মদ মঈনুল হাসান জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও তার সন্তানরা তিনটি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের ফ্ল্যাট ও বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা জাল হলফনামায় জানিয়েছেন, কোনো সম্পত্তি নেই এবং অসহায়।
এর আগে এই মামলাগুলোর অন্যান্য সাক্ষ্যদানে ছিলেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
৩১ জুলাই চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর তিন মামলায় শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাগুলোতে অন্যান্য আসামিরা হলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য কবির আল আসাদ, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
দুদক গত জানুয়ারিতে এই ধরনের পৃথক ৬ মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি সব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।