বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ ও অবস্থানের অভিযোগে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির উত্তর-পশ্চিম জেলার মহেন্দ্র পার্ক থানার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্যটি জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই ঢাকার বাসিন্দা। তারা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার জন্য তৃতীয় লিঙ্গের নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করতেন। ভারতের পৌঁছানোর পর তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার করেছিল। তারা নারীর পোশাক, আলগা চুল এবং মেকআপ ব্যবহার করতেন এবং নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে নারীসুলভ আচরণ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা দিনে ভিক্ষা করত এবং রাতে অশোভন কার্যকলাপে যুক্ত থাকত। জাহাঙ্গীরপুরী মেট্রো স্টেশন ও নিউ সবজি মণ্ডি এলাকায় টহলের সময় পুলিশ তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে করে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। ফোনে মেসেজিং অ্যাপ ‘ইমো’ ইনস্টল ছিল। এছাড়া তাদের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের গ্যালারি ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশে তোলা ছবি ও ভিডিওও পাওয়া গেছে।
পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে স্বীকার করেন। তাদের নাম খাজা মাইনুদ্দিন ওরফে খাদিজা (২৭) ও রাজীব চন্দ্র সরকার (৩৯)।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বৈধ ভিসা বা অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই তারা ভারতে অবস্থান করছিল। তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয় এবং পরে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।