মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ৩১তম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের একটি কপি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভিডিও পোস্টের আগে গোমেজ ইসলামকে টেক্সাস থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার অঙ্গীকার করেন। ভিডিওটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করা হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এখনও তা পাওয়া যাচ্ছে, যা ইলন মাস্কের প্ল্যাটফর্মকেও সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
চরম ডানপন্থী এই প্রার্থী বিভিন্ন সময় ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। ভিডিওতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করেছেন এবং মুসলিমদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমদের বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গোমেজের এমন কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেছেন, তিনি কোরআন পোড়ানোর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্ম ও বিশ্বাসের অসম্মান করেছেন। অনেকেই বলছেন, তিনি রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলও গোমেজের সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কোরআন পোড়ানোর মাধ্যমে গোমেজ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।