মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তের নিকটে তাদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ বিজিবিকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, রোহিঙ্গা পাচারের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নাফ নদী এবং স্থল সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে তাদের সদস্যদের অবস্থান। সীমান্তে বাংলাদেশি কড়াকড়ি বৃদ্ধির কারণে আরাকান আর্মি কিছুটা বেকায়দায় পড়ে হলেও তারা বিভিন্ন ধরনের তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশে চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
সাম্প্রতিক সময়ে নাফ নদী থেকে জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা বেড়েছে। গত এক মাসে ৫১ জন জেলেকে আটক করার মতো ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের মধ্যে ৬৩ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে, আর চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৬৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করেছে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বিজিবি সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে। ২৯ আগস্ট ১৯টি ট্রলারসহ ১২২ জন জেলেকে নাফ নদী সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র ও মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। গত ২৭ আগস্ট টেকনাফে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত এবং নির্বাচনের আগে অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহে মরিয়া। বাংলাদেশের সীমান্তে মাদক, অস্ত্র চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সরকার সীমান্তে জনবল বাড়িয়েছে এবং মানবিক কারণে সীমিত রোহিঙ্গাদের প্রবেশ অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তবে বিজিবি জানিয়েছে, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা চোরাকারবারীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।