মাদারীপুরে তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে চেতনানাশক দিয়ে অচেতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সোহাগ শিকদার (৪০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে জেলার কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ওসি সোহেল রানা। আসামি ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত সোহাগ জেলার কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সোহাগ নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে নিজ ঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশী যুবক সোহাগ। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে। টানা তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফেরে শিশুটির। এ সময় বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ। পরে বাড়ি ফিরে শিশুটি ভয়ে কাউকে বলেনি। গতকাল রোববার দুপুরে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রচন্ড ব্যথা আর যন্ত্রণা শুরু হলে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মাদারীপুর জেলা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ সময় নির্যাতিত শিশুটি জানায়, সোহাগ তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। এখনও আমরা খুব ভয়ে আছি। এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে।