জামালপুরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এটি মানহানি মামলার কারণে, যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে দায়ের করা হয়।
সোমবার দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার ডা. মুরাদ হাসানসহ আরও একজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের টক-শোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তারেক রহমান ও জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এ মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে জিয়া পরিবারের ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টক-শোর উপস্থাপক মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলী আদালত ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।