বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রচারের কারণে কিছু দলের নেতারা ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তবে মনে রাখতে হবে, একমাত্র নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আল্লাহর হাতে এবং দেশের বাস্তব ক্ষমতা জনগণের হাতে রয়েছে। তাই জনগণের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয়।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণাকে কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ দেশ ও জনগণের স্বার্থে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং জনগণ তারেক রহমানকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, ইনশাআল্লাহ। তার নেতৃত্বে ৩১ দফার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ হবে সবার বাংলাদেশ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গণে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ হোসেন। সভার আয়োজন করে ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনগণের দল। আমাদের নেতা তারেক রহমান জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন। আগামীতে গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি স্বচ্ছ ভোট অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জনগণ ঠিক করবেন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা প্রায়ই বলছেন—“এটা হবে না, ওটা হবে না।” তবে ৫৪ বছরের ইতিহাস অনুযায়ী, তাদের ওপর জনগণের আস্থা নেই। তাই কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়েই জনগণের কাছে যাচ্ছে।
ডা. জাহিদ হোসেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, একদিকে জিয়াউর রহমান একদলীয় বাকশাল থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন। তাদের অবদানের স্মরণে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, নেত্রী যেন সুস্থ থাকেন এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হন।
সভায় বিশেষ অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তারেক রহমান ‘সবার ওপরে বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার নেতৃত্বে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র চলছেই। তবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে গিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রতিহত করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার পর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে দুর্গাবাড়ী ও নতুন বাজার সড়ক হয়ে নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।