রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হলো শরীরের স্নায়ু, টিস্যু ও বিভিন্ন অঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত এক জটিল প্রক্রিয়া, যা সংক্রমণ ও নানা ধরনের রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। ফুটবলের মতো প্রতিরক্ষার ভূমিকা পালন করে এই ব্যবস্থা, যা দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রোকলি ও কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তবে বিশেষভাবে কার্যকর একটি ফল হলো পেঁপে। নরম ও পুষ্টিকর এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। একটি মাঝারি আকারের পেঁপেতে দৈনিক চাহিদার ১০০% এরও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এই ভিটামিন টি এবং বি লিম্ফোসাইটের কার্যক্ষমতা বাড়ায়—যেখানে টি কোষ সংক্রমিত কোষ ধ্বংস করে আর বি কোষ অ্যান্টিবডি তৈরি করে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এছাড়া এক কাপ পেঁপেতে প্রায় ২.৫ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা হজমের উন্নতি ঘটায় এবং সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যেহেতু আমাদের প্রায় ৭০% প্রতিরোধক কোষ অন্ত্রেই থাকে, তাই এই ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পেঁপেতে প্রাকৃতিকভাবে থাকা পাপাইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে ও পুষ্টি শোষণ বাড়াতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি এটির প্রদাহ-নিবারক এবং ভাইরাস প্রতিরোধী গুণও রয়েছে।
প্রদাহ কমাতে সহায়ক
পেঁপেতে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে প্রদাহ হ্রাস পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দৃঢ় হয়। পেঁপের একটি টুকরায় প্রায় ৩ মিলিগ্রাম লাইকোপিন পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, লাইকোপিন হৃদরোগ ও প্রোস্টেট ক্যান্সারসহ কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।