বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন নির্বাচন আদৌ হবে কি না। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। বাংলার মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থী ও দলকে ভোট দেবে, আর পছন্দের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে জিয়া হল চত্বরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু আরও বলেন, গত ১৬ বছর ধরে তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আগামী দিনে তিনিই হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। উন্নত দেশের পথে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সক্ষম একমাত্র তারেক রহমানই। তাকে আমরা চাই, বিএনপি চায়, বাংলার মানুষও চায়। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে—বিএনপিকে ক্ষমতায় না আনা পর্যন্ত কোনো শিথিলতা চলবে না।
প্রতিবেশী দেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গণহত্যাকারী ও লুটেরাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই আমাদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় ঐক্যের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, দলকে ক্ষমতায় আনতে না পারলে দেশকে রক্ষা করা যাবে না। এজন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বক্তব্য দেন জেলা আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, নগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, শহীদ সাকিব রায়হানের বাবা আজিজুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলী, বেগম রেহানা ঈসা, অ্যাডভোকেট তাছলিমা খাতুন ছন্দা, যুবদল নেতা ইবাদুল হক রুবায়েত, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতাউর রহমান রুনু, জাসাস নেতা ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ফারুক হোসেন।
এদিকে, সমাবেশ শেষে পূর্বনির্ধারিত শোভাযাত্রা কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণে বাতিল করা হয়। তবে কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেন।