উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেকোনো সময় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো)। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ‘এক নজরে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে কিংবা উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চলসহ সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশের উজানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী চার দিন ব্রহ্মপুত্র–যমুনা নদ-নদীর পানিস্তর বাড়তে পারে। তবে পঞ্চম দিনে তা স্থিতিশীল হয়ে বিপদসীমার নিচে নেমে আসতে পারে। একইভাবে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কমতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, গোমতী, মাতামুহুরি, হালদা, সাঙ্গু ও সেলোনিয়া নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদী বিপদসীমা অতিক্রম করে ফেনীর নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, রহমতখালি খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি গিয়ে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করতে পারে। তবে তৃতীয় দিনে পানিস্তর হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি আগামী একদিন স্থিতিশীল থাকলেও পরবর্তী দুই দিনে বাড়তে পারে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে বর্তমানে স্বাভাবিক জোয়ার দেখা যাচ্ছে। তবে আগামী তিন দিন স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ার হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।