Monday, September 1, 2025
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে

৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ আত্মসাত ও কর ফাঁকির মাধ্যমে প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ৯৩১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, অনুমোদিত মামলার আসামিরা হলেন— সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি ও চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডা. মাজহারুল মান্নান, সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী মো. নাজমুল হাসান পাপন, ট্রাস্টি সায়ফুল্লাহ আব্দুল্লা সোলেনখী, ট্রেজারার মো. শামসুজ্জামান, জ্যান বারী রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্ত, এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য প্রফেসর রুহুল হক, শিরিন জামান মুনির, এম এস মেহরাজ জাহান ও সদস্য ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

এর পাশাপাশি হামিদ রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান ইন্তেকাবুল হামিদ, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ওরফে সালমান এফ রহমান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আজিজ খান, সাবেক এমপি এ কে এম রহমাতুল্লাহ, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন হাসান রশিদ, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও বিল ট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এনায়েতুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, সাবেক সদস্য মীর মুস্তাক আলী, চৌধুরী আমির হোসেন, পারভেজ ইকবাল, মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. ফিরোজ শাহ আলম, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. মাহবুবুর রহমান, মো. লোকমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হাসান, মো. জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, এ এফ এম শাহরিয়ার মোল্লা, সুলতান মো. ইকবাল, তন্দ্রা সিকদার এবং কালীপদ হালদারও অভিযুক্ত।

অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে নকল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর মওকুফ সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং ভুয়া আয়কর রেকর্ড তৈরি করে ৪৪৭ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাংকে ১৪টি হিসাব খোলা হয়ে ৯৩০ কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫৯ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments