একক প্রার্থী থাকলে ‘না ভোট’সহ বেশ কিছু নতুন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি এখন ভেটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং শেষ করলে গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট নবম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, খসড়া সংশোধনীতে কয়েকটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্তকরণ,
- ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধি বিলুপ্ত করা,
- একক প্রার্থী থাকলে কেবল ‘না ভোট’-এর সুযোগ রাখা,
- ইসিকে পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করার ক্ষমতা প্রদান,
- সমভোট হলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোটের বিধান।
এছাড়া খসড়ায় আরও যেসব প্রস্তাব রয়েছে—
- সরকার ও ইসির মধ্যে মতবিরোধ হলে ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে,
- তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিন আগে থেকেই প্রশাসন ও পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসির অধীনে আসবে,
- সরকারি কর্মকর্তারা নির্দেশ অমান্য করলে গোপনীয় অনুবেদন ও শাস্তির ব্যবস্থা,
- প্রতীক বরাদ্দের আগেই মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা,
- নির্বাচনী ব্যয় তদারকিতে কমিটি গঠন, দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ,
- হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ভোটের পরেও ব্যবস্থা,
- মিথ্যা অভিযোগ করলে মামলা দায়েরের বিধান।