‘ট্রিপলেট’ শব্দটা যেমন অপরিচিত, তেমনি এর মানেও অনেকটা অদ্ভুত। একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম নিলে তাকে বলা হয় ট্রিপলেট বা ত্রেতা। এমন ঘটনাই যেমন বিরল, তার চেয়েও বেশি বিরল হলো সেই তিন যমজ একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে একই ম্যাচে খেলার ঘটনা। নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটে যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন এমনই তিন ভাই—সাকিব, আসাদ ও জুলফিকার। আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নেমে তারা গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ড।
তিন ভাই বর্তমানে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। যদিও তাদের শিকড় পাকিস্তানে, আর স্বপ্ন ছিল জন্মভূমির হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার। তবে জীবনের বাঁক ঘুরে তারা হয়ে উঠেছেন ডাচ ক্রিকেটের অংশ। এ যাত্রার গল্প শোনালেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার জুলফিকার সিকান্দার।
বিশ্ব ক্রিকেটে এর আগে যমজদের একসঙ্গে খেলার ঘটনা নতুন নয়। ইংল্যান্ড দলে বেন টম ও স্যাম কারেন কিংবা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ- মার্ক ওয়াহ জুটি তো বিশ্ববিখ্যাত। তবে জুলফিকার ব্রাদার্স সেই কীর্তিকেও ছাড়িয়ে গেছেন। এ অনুভূতি সম্পর্কে জুলফিকার বলেন, ‘এটা সত্যিই আনন্দের এবং ভীষণ স্পেশাল।’ ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়েও তার বক্তব্য, ‘এটা স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যে-ই ভালো করে, অন্যরা খুশি হয়, কারণ আমরা সবাই একই দলের হয়ে খেলি।’
বাংলাদেশ সিরিজে জুলফিকার সুযোগ পেয়েছেন তার ভাই সাকিবের পরিবর্তে। প্রসঙ্গ উঠলেই বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের কথা চলে আসে। জুলফিকার বলেন, ‘অবশ্যই চিনি, সে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।’
ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে গত চার মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছেন জুলফিকার। ব্যাট হাতে মিডল কিংবা লোয়ার অর্ডারে নেমেও করেছেন দাপট। ২৪৬ স্ট্রাইক রেটে সাড়ে ১৫শর বেশি রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে দশটি অর্ধশতক। শুধু ব্যাট নয়, বোলিংয়েও রাখছেন কার্যকর ভূমিকা।