ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারেছা আক্তার আঁখিকে মারধরের অভিযোগে খান্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারিয়া আক্তার পিংকির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে সহরবানু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ চালায়।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলার গৌরীপুর-বেখৈরহাটি আঞ্চলিক সড়কের দাড়িয়াপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে গৌরীপুর থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে আঁখি ও পিংকি একই অটোরিকশায় ওঠেন। সিটের সমস্যা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয় এবং পিংকি আঁখিকে চড় থাপ্পড় মারে। একপর্যায়ে একই ঘটনায় পিংকি পথিক নামের এক যুবককেও মারধর করেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন মিছিল আয়োজন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও শোরগোলের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও গৌরীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র রায় বলেন, “একজন শিক্ষক কিভাবে অন্য শিক্ষককে মারতে পারে, তা বোধগম্য নয়। পিংকি অটোরিকশায় বাজে আচরণ করেছেন এবং সহকারী শিক্ষককে মারধর করেছেন।”
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপ্না বেগমও জানান, পিংকি হঠাৎ গাড়িতে থাকা যুবককে থাপ্পড় মারেন এবং আঁখিকেও মারধরের চেষ্টা করেন।
সহরবানু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হক বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তবে বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সমাধান হওয়া প্রয়োজন।”
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার জানান, “ছোট শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হলে গেইট তালা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে দুই পক্ষের কথা শোনা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক পিংকির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”