ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ’র আদালত এই আদেশ দেন।
জালালের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন করেন, আর রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ গোলাম মোর্তজা তা বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দেন।
এর আগে ২৬ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান জালালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে জালালের বিরুদ্ধে তার রুমমেট মো. রবিউল হককে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবিউলকে মারধর ও ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা দায়ের করে। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল রাত ১২টার দিকে নিজের কক্ষে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল তার ঘরে ঢুকে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানা-হেঁচড়া করে ‘বিকট’ শব্দ করতে থাকেন। এতে রবিউলের ঘুম ভেঙে যায়। রবিউল জালালকে অনুরোধ করেন, “ভাই, আমি সকালে লাইব্রেরিতে যাব, একটু আস্তে শব্দ করুন।”
তবে জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন এবং একপর্যায়ে কাঠের চেয়ার দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করেন। রবিউল হাত দিয়ে আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কপালে জখম হন। এরপর জালাল রুমে থাকা পুরনো টিউবলাইট দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। রবিউল শরীর সরালেও বুকের বাঁ পাশে আঘাত লাগে এবং টিউবলাইট ভেঙে যায়। জালাল ভাঙা ও ধারালো টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে রবিউল হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে হাত কেটে যায়।