গাইবান্ধায় আলোচিত হ্যাকার চক্রের প্রধান পলাশ রানাকে (২৫) শিশু হিসেবে দেখিয়ে জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি করে জামিন নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেফাউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়েছে পুলিশ। যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর এটি নিয়মিত মামলায় রূপান্তরিত হবে।
অভিযুক্ত আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপন অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, মামলা হলে তিনি আদালতে যথাযথ জবাব দেবেন।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর গ্রাম থেকে পলাশ রানা ও তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল সিমকার্ড, মোবাইল ফোন এবং প্রযুক্তি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পলাশ রানার জামিন আবেদন ব্যর্থ হলে ৩ আগস্ট শিশুকোর্টে পলাশের বয়স দেখানো হয় ১৭ বছর ৭ মাস। এই তথ্যের ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করা হয়।
কিন্তু তদন্তে প্রকাশ হয়, জাতীয় পরিচয়পত্রে পলাশের জন্ম তারিখ ১ জুন ২০০০ এবং মামলার এজাহারেও তার বয়স ২৫ বছর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। জন্মনিবন্ধনে লেখা ১৫ জানুয়ারি ২০০৮-এ তার বয়স কম দেখানো হয়েছে, যা পুরো কূটকৌশল ফাঁস করে।
১২ আগস্ট দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী সরওয়ার হোসেন বাবুল বিষয়টি উত্থাপন করেন। এরপর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু বকর সিদ্দিক ছানা জানান, ভুয়া জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে নেওয়া জামিন বাতিল করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।