পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরাজি পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইফফাত মোকাররমা সানিমুন এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে শোকজের পরও কর্মস্থলে ফেরেননি। তিনি সন্তান ও বাবার চিকিৎসার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। যদিও তার বাড়ি চরভাঙ্গুড়ায়, সে পৌরশহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিশাত রেহানা গত ৩১ জুলাই তাকে শোকজ করেন এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলেন। কিন্তু এরপরও শিক্ষিকা সানিমুন বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি এবং শোকজের জবাবও দেননি।
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তার ব্যাংক কর্মকর্তা বান্ধবীর ১৫ ভরী স্বর্ণের গহনা চুরির অভিযোগে গত ৯ জুলাই ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা হয়। মামলায় তিনি বর্তমানে ৬ সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ২৬ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দুই মাসের বিশেষ ছুটির জন্য আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। তবে বিনা ছুটিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ৩১ জুলাই তাকে শোকজ করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা ইফফাত মোকাররমা সানিমুন জানান, “সন্তান ও বাবার অসুস্থতার কারণে এতদিন ছুটিতে ছিলাম। মে থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই মাসের অর্জিত ছুটি নিয়েছি। শোকজ নোটিশ ৭ আগস্ট পেয়েছি, তাই এখনো জবাব দিইনি। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা রয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরবো না।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেকেন্দার আলী বলেন, “অসুস্থতা জনিত ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি জেলা কর্মকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে।”