ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বামপন্থি শিক্ষার্থীদের জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’-এর প্রার্থী শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি। ২০১৯ সালে শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি পদে স্বতন্ত্রভাবে জয়ী হওয়া ইমি এবার কেন্দ্রীয় সংসদে লড়ছেন। খুলনার পাইকগাছার এই কন্যা বিশ্বাস করেন, আধিপত্য নয়—সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠতে পারে নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ।
‘আমার দেশ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমি জানান, তার লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গণতান্ত্রিক, নিরাপদ ও রাজনৈতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করা।
কেমন ডাকসু তিনি দেখতে চান—এমন প্রশ্নে ইমি বলেন, “প্রতি বছর ডাকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অংশ হতে হবে। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাই, চুরি, মাদক ব্যবসার মতো ঘটনা ঘটছে—এগুলো বন্ধে আমি কঠোর পদক্ষেপ নেব।”
তিনি আরো জানান, পূর্ণ আবাসন, নিরাপদ খাদ্য, গবেষণানির্ভর একাডেমিক পরিবেশ এবং অনুমোদিত মেগা প্রজেক্টগুলোর সময়মতো বাস্তবায়ন তার অগ্রাধিকার। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষ সেল গঠনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক নিয়ে ইমি বলেন, এটি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে—সিনিয়র ও জুনিয়র স্কলারের সম্পর্কের মতো, প্রভু-দাসের মতো নয়।
ক্যাম্পাসে আধিপত্যের রাজনীতি যেন আর না ফিরে আসে, সে প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতি থাকবে, তবে সেটি হবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতার ভিত্তিতে।”
নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো এবং উৎসবমুখর। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
নিজেদের প্যানেল নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ইমি বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তাদের শক্তি। জয়ী হলে দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। আর নির্বাচিত না হলেও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।