ভারতের রাজধানী দিল্লি অবিরাম বর্ষণের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে পৌঁছায় শহরের ঘর-বাড়ি, রাস্তা ও ত্রাণকেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে শত শত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ময়ুর বিহার ফেজ-১সহ নিম্নাঞ্চলের ত্রাণকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় পুরোনো রেল সেতুতে যমুনার পানি ২০৭.৪৮ মিটার ছিল।
প্রবল বৃষ্টির কারণে দিল্লিতে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর এলাকায় সড়কের অংশ ধসে গেছে, সিভিল লাইনস ও কাশ্মিরি গেট এলাকায় গাড়ি ডুবে গেছে, ভবন প্লাবিত হয়েছে। যমুনার তীরবর্তী এলাকায় পানি বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও স্থানীয় প্রশাসন বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মানুষ ও গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে। যমুনা বাজার, নাজাফগড় ও জইতপুরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে সরিয়ে নিরাপদ করা হয়েছে, ৬২৬ জন মানুষ এবং ১৩টি গবাদি পশুকে নিরাপদে নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার বজ্রঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বরও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় রেড অ্যালার্ট, অন্য রাজ্যগুলিতে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
পাঞ্জাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে; বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭। ২৩টি জেলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে রূপনগর ও পাটিয়ালা জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।