চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা, যেখানে লেখা রয়েছে— ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। জানা গেছে, অপারেশনের সময় তার মাথার খুলি আংশিকভাবে অপসারণ করা হয়েছে, যা আপাতত ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর আবার খুলি লাগানো হবে।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। চার ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচারে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়। এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায় এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
মামুনের বন্ধু রাসেল রানা জানান, তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ইশারায় কথা বলার চেষ্টা করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক থেকে দুই মাসের মধ্যে খুলি পুনঃস্থাপন করা যেতে পারে, তবে শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে সময়কাল।
চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মাথায় মারাত্মক জখম হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে। এজন্য অপারেশন করে হাড় অপসারণ করতে হয়েছে।
পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন জানান, মামুন এখন মোটামুটি স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছে। মস্তিষ্কের ওপর চাপ এড়াতে আপাতত খুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে, পরবর্তীতে তা পুনঃস্থাপন করা হবে। তবে প্রয়োজন হলে আবারও অপারেশন করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট থেকে কয়েক দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত হন।