বিশ্বজুড়ে তারকাদের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো নতুন কিছু নয়। হঠাৎ খবর রটে, পরে本人কে এসে বলতে হয়—“আমি এখনো বেঁচে আছি।” এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। নিয়মিত সরব থাকলেও দুদিন হঠাৎ জনসম্মুখ ও সংবাদমাধ্যমে অনুপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। এই অস্বাভাবিক নীরবতাকেই পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর গুজব। অবশেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে ট্রাম্প নিজেই তা খণ্ডন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প হাসিমুখে বলেন, তিনি কোনো মৃত্যুর গুজব শোনেননি। বরং উইকএন্ডে তিনি ছিলেন “খুবই সক্রিয়”—সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, গলফ খেলেছেন এবং নিজের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি দুদিন সংবাদ সম্মেলন করিনি, আর তারা বলল কিছু একটা হয়েছে। অথচ বাইডেন মাসের পর মাস সাংবাদিকদের সামনে আসেন না।”
গুজব ছড়ানোর কারণও ছিল একাধিক। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প টানা ছয় দিন বড় কোনো অনুষ্ঠানে যাননি—যা তার দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘতম বিরতি। এ ছাড়া সম্প্রতি তার গোড়ালিতে ফোলাভাব ও হাতে কালশিটে দাগ দেখা গিয়েছিল। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তিনি ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামক শিরাজনিত সমস্যায় ভুগছেন, আর হাতে দাগ এসেছে করমর্দন ও অ্যাসপিরিন ব্যবহারের কারণে। তবে সমালোচকেরা এ ব্যাখ্যা মানতে চাননি। ফলে ছুটির নীরবতা ও শারীরিক লক্ষণ মিলিয়ে গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মিম, টিকটক ভিডিও আর সার্চ ইঞ্জিনে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প নিজে ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, তিনি জীবনে কখনো এত ভালো বোধ করেননি। তবুও গুজব থামেনি। আরও জল্পনা বাড়ায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের এক মন্তব্য। তিনি বলেন, ট্রাম্প সুস্থ আছেন, তবে কোনো অঘটন ঘটলে আমেরিকার সেবায় নিজের শেখা অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন। তার এই বক্তব্যও আলোচনার জন্ম দেয়।
এদিকে মেলানিয়া ট্রাম্পকে ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে কালো টুপি পরে ক্যামেরা এড়াতে দেখা যাওয়ার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্টদের চিকিৎসার স্থান হওয়ায় এই ছবি জল্পনা আরও উসকে দেয়। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।