ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুকন ও ফরজ আমল হলো নামাজ। ঈমানের পর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে। নামাজে অবহেলা এবং অলস আচরণ মুনাফিকের আলামত হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
“নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, অথচ তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে দেন। আর যখন তারা সালাতে দাঁড়ায়, তখন শৈথিল্যের সঙ্গে দাঁড়ায়; কেবল লোক দেখানোর জন্য, আর আল্লাহকে তারা খুব কমই স্মরণ করে।”
(সূরা নিসা, আয়াত: ১৪২)
এই আয়াতে মুনাফিকদের তিনটি দোষের উল্লেখ আছে—
১. নামাজে অলসতা প্রদর্শন করা,
২. শুধু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজে দাঁড়ানো,
৩. আল্লাহকে খুব কম স্মরণ করা।
কোরআনের অন্যান্য আয়াতে বলা হয়েছে, মুনাফিকরা নামাজে উপস্থিত হয় কেবল শৈথিল্যের সঙ্গে এবং অর্থসাহায্যও কেবল অনিচ্ছাকৃতভাবে করে। (সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৫৪) এছাড়া, যারা নামাজে উদাসীন, তাদের জন্য দুর্ভোগের সতর্কবাণীও দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। (সূরা মাউন, আয়াত: ৪-৫)
হাদিসে মুনাফিকের চরিত্রও বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মুনাফিকের নামাজ এমন—সে সূর্যের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে। যখন সূর্য শয়তানের দু শিংয়ের মাঝখানে (ডুবার সময়) পৌঁছে, তখন উঠে চারবার ঠোকর দেয়। এতে তার আল্লাহর স্মরণ খুব কম হয়।” (মুসলিম, হাদিস: ৬২২)
নামাজে উদাসীনতা ও অলসতা কেবল ব্যক্তিগত নৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি ঈমানের দুর্বলতার লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ