সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকপতনের মধ্য দিয়ে। তবে এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। মূলত ভালো শেয়ারের বিক্রির চাপেই বাজারে পতন ঘটে এবং সার্বিক লেনদেনও কমে যায়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে। বুধবার যা ছিল ৫ হাজার ৬৩২ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে নেমে গেছে।
আজ মূলত ডিএসই-৩০ সূচকে থাকা বড় কোম্পানিগুলোর দরপতন বাজারকে প্রভাবিত করেছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবিসি), ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ওয়ালটনসহ মোট ১৮ কোম্পানির দর কমেছে। এর প্রভাবে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়লেও সূচক নিচে নেমেছে।
আজকের লেনদেনে অংশ নেয় ৩৯২ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭২টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫৯ কোটি টাকা কম। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার।
লেনদেনে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে সিটি ব্যাংক। আজ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার, যদিও আগের দিন এই অঙ্ক ছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বৃহস্পতিবার সব সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে। এখানে দর বেড়েছে এবং কমেছে সমসংখ্যক শেয়ারের। তবে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় অনেক কম।
আজ সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। লেনদেনে অংশ নেয় ২৩৮ কোম্পানি। এর মধ্যে ১০৮টির দর বেড়েছে, ১০৮টির কমেছে এবং ২২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে আজ লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৪ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ২১ কোটি ১২ লাখ টাকার তুলনায় অনেক কম।