দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা করতে আসা ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এবার সেই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— চক্রের প্রধান দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ, কামাল হাওলাদার, আব্দুর রহমান হাওলাদার, মেহেদী হাসান ওরফে হাসান, বাবুল হাওলাদার, রমিজ তালুকদার ও জান্নাতুল ফেরদৌস। তাদের কাছ থেকে মাইক্রোবাস, ডিবি জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, হ্যান্ডকাফ, খেলনা পিস্তল, লাঠি, লেজার লাইট ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এসময় দলের আরও পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়। পরদিন মিন্টু রোডের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, এই চক্র স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি চালাত। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি মাসুদ জানান, দ্বীন ইসলামের নামে অন্তত ১০টি, আব্দুর রহমানের নামে ৩টি, মেহেদীর নামে ৪টি, বাবুলের নামে ২টি এবং রমিজের নামে ৪টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় এই চক্র ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহক সেজে অবস্থান নিত। পরে সোর্সের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারী বা একা আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করত। এমনকি সফল ডাকাতির পর সোর্সরা আসল ডাকাতদের চেয়েও বেশি টাকা পেত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগসাজশ নেই জানিয়ে ডিসি বলেন, আসামি দ্বীন ইসলাম পুলিশের ইন্সপেক্টরের ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করেছিল, যা আসল বলে মনে হতো। তিনি সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কাউকে তুলে নেওয়া হলে আশপাশের মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হবে কোন বিভাগ বা ইউনিট থেকে তারা এসেছে।