বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা রাজনৈতিক নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিদেশ পালানোর সুযোগ প্রশাসন সুবিধা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দশম শ্রেণির ক্ষুদে বিজ্ঞানী নাবিলের বাড়িতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া প্রেতাত্মারা এখনও প্রশাসনে সক্রিয়। যেসব নেতা-কর্মী অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের পাসপোর্ট অফিসকে বিদেশে যাত্রার জন্য গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হচ্ছে। অথচ অপরাধে অভিযুক্ত বা অভিযুক্ত হওয়ার মতো ব্যক্তিরা কখনও এমন সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। প্রশাসনের ভিতরে থাকা এই লোকেরা হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের শক্তির কাছে কোনো ষড়যন্ত্রই টিকবে না। নতুন চক্রান্ত যতই হোক, ব্যর্থ হবে। দেশে অবশ্যই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, “প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। অন্য দলের বক্তব্য ভালো না লাগলে সমালোচনা করা গণতন্ত্রেরই অংশ। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। তিনি ভয়ভীতি ও দমন-পীড়নের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা। এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা ইস্যুতে কথা বলছে, এটিই গণতন্ত্রের শুভ সূচনা।”
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।