প্রশাসনিকভাবে জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন মিললেও এখনো ভাড়া বাসায় চলছে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। পর্যায়ক্রমে বিলটি বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদন শেষে ২০২২ সালের ২৯ মার্চ সংসদে পাস হয়।
২০২৪ সালে ইউজিসির অনুমোদন অনুযায়ী বিজ্ঞান অনুষদে গণিত, পরিসংখ্যান ও মনোবিজ্ঞান এবং প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ চালু হয়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। বর্তমানে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে পিরোজপুর ও ঢাকায় ভাড়া নেওয়া দুটি গেস্টহাউজে, আর পাঠদান চলছে পিরোজপুরে ভাড়া করা একটি বাড়িতে। ছাত্রী হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের একটি তলা এবং ছাত্রদের জন্য শহরের একটি ভাড়া ভবন।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার কদমতলায় ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন মিললেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
শিক্ষার্থী নাওমি নাওয়ার অভিযোগ করেন, ভাড়া বাড়িতে ক্লাস হওয়ায় তারা পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছেন না। দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানান তিনি। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন বলেন, আরও একটি ব্যাচ শুরু হলে ভাড়া ভবনে পাঠদান চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি পাওয়া গেছে এবং কাজ চলছে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ ৭৫ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদনও পাওয়া গেছে। শিগগিরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।