ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং আইন-কানুনের সব বিষয়কে সুষমভাবে নির্দেশনা দেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম।
দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, ঘুষখোর, মিথ্যাবাদী বা ধর্মের প্রতি উদাসীন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানো ইসলামে অনুমোদিত নয়। নির্বাচনে Islam সততা, যোগ্যতা, খোদাভীতি, ইমান-আমল, জ্ঞান ও চারিত্রিক গুণাবলিকে প্রাধান্য দেয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেয়ার সময় শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের দ্বীন পালনের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ভোটে শুধুমাত্র দলীয় বা ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হলে সেটি ভোটের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে গণ্য হবে। ভোটের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক স্বার্থ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা ধর্ম পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন। নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষাঙ্গনের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতি নেওয়া প্রয়োজন।
শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে, যাকে শিক্ষাঙ্গনের স্বার্থে সবচেয়ে বেশি কার্যকর মনে হবে তাকে ভোট দিন।’