ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৯ জন মারা গেছেন এবং ৪২২ জন আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপ ও সড়কে আটকা পড়ে আছেন, এবং উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয়জন নিহত এবং ১৯০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত মানবিক সহায়তা বিতরণের সময় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬২ জন এবং আহত ১৭ হাজার ৪৩৪-এর বেশি।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও পুষ্টিহীনতার কারণে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গত অক্টোবর থেকে অনাহারজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৬ জনে, যার মধ্যে ১৩৪ জন শিশু।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে ২৪ লাখ মানুষের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চরম দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা জরিপ অনুযায়ী, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ এটি দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়বে।
১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে। এরপর থেকে অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কারণে দেশটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি রয়েছে।