রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাসসহ মোট ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য বা প্রমাণ পায়নি পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত পৃথক দুই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এর মধ্যে ফখরুলসহ ৭০ জনের মামলার শুনানি হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এবং ফখরুলসহ ৭৭ জনের মামলার শুনানি হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করলে তারা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাবেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় পুলিশ অব্যাহতির সুপারিশ করেছে।”
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের মাজার গেইট এলাকায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে প্রভাবিত করা। শাহবাগ থানার এসআই ইদ্রিস আলী এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে এ মামলায় ৭০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
অন্য মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, একই দিন শাহবাগ এলাকার বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শাহবাগ থানার এসআই শামছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।