গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাবি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ থেকে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস রয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবারের কয়েকজনের পাসপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং অর্থের ব্যবস্থাও সম্পন্ন। তবে নুর নিজে এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসা নিতে রাজি হননি।
গণঅধিকার পরিষদের সূত্র জানায়, নুরের পরিবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। হাসপাতালের জন্য অগ্রিম অর্থের ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। কিন্তু নুরের সম্মতি না থাকায় বিদেশে যাত্রা এখনও স্থগিত।
দলের নেতারা বলছেন, একজন জাতীয় রাজনীতিক হিসেবে নুর দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখার কারণে বিদেশ যাত্রায় অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা থাকায় বিদেশে থাকলে দলীয় পরামর্শে বাধা আসতে পারে। বর্তমানে নুর শঙ্কামুক্ত থাকায় বিদেশ যাত্রার প্রয়োজনও কম।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান জানান, সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে নুরের সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ঢামেক কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নুরের পরিবার।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, নুরের শর্ট মেমোরি লস হয়নি। শুরুতে মাথায় আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও পরবর্তী সিটি স্ক্যানে রক্তক্ষরণ প্রায় ঠিক হয়েছে। বর্তমানে নুর স্থিতিশীল এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে।
তবে নাকের হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে, যা কয়েক দিন চলতে পারে। নাকে তিনটি আঘাত থাকলেও হাড়গুলো স্থানচ্যুত হয়নি। চোখে আঘাত থাকলেও রক্তক্ষরণ হয়নি। সাধারণত এই ধরনের আঘাত সম্পূর্ণ সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
এর আগে ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নুরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এরপর থেকে তিনি ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন।