স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন, ফিলিস্তিনে চলমান সংকটের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলগামী জাহাজ ও অস্ত্রবাহী বিমান স্পেনীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না এবং দেশের আকাশসীমায় প্রবেশও করতে পারবে না।
সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। টেলিভিশন ভাষণে সানচেজ বলেন, “আমরা আশা করি এই পদক্ষেপ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলমান দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হয়।”
স্পেন সরকার আরও জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরাইলি বসতিতে তৈরি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া, যারা ফিলিস্তিনে “গণহত্যায়” সরাসরি যুক্ত, তাদের স্পেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
ইসরাইল স্পেনের এই পদক্ষেপকে তীব্র সমালোচনা করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী সানচেজ এটি তার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির দৃষ্টি সরানোর জন্য করছেন” এবং এই পদক্ষেপকে “ইহুদি-বিদ্বেষী” আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিশোধস্বরূপ, ইসরাইল স্পেনের দুই বামপন্থী মন্ত্রী—শ্রমমন্ত্রী ইয়োলান্ডা ডিয়াজ এবং যুবমন্ত্রী সিরা রেগো—কে দেশের প্রবেশে নিষিদ্ধ করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্পেনের এই পদক্ষেপ ইউরোপে প্রথমবারের মতো এত স্পষ্ট ও কার্যকর প্রতিবাদ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা গাজায় চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।