বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবে না এবং গণতন্ত্রের রেললাইনে চলা শুরু করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপি, শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার সকল নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করবেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালি এক সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তারেক রহমান বলেন, “যদি জনগণকে বাইরে রেখে দলগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলে, তাহলে তা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং পলাতক স্বৈরাচারের পুনরাগমন ঘটাতে পারে। গণতন্ত্রের প্রতি যেকোনো হুমকি আমরা মোকাবিলা করব। জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না।”
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “পতিত সরকার মানুষের ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের অধিকার ধ্বংস করেছে। জবাবদিহিতা ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রায় ৩ কোটির বেশি নতুন ভোটার ভোট দিতে পারেননি।”
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন মতামত দিয়েছে। কিছু বিষয়ে একমততা রয়েছে, তবে কিছু বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে। এই ভিন্নতাগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে, জনগণের হাতে সিদ্ধান্তের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।