চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে গুরুতর আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সাত দিন পর চেতনা ফিরে পেয়েছেন। শনিবার তার চেতনা ফিরে আসার পর শারীরিক অবস্থা উন্নতির পথে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, একই সংঘর্ষে আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অবস্থাও ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম।
ডা. রেজাউল করিম বলেন, “শনিবার মেডিকেল বোর্ড বসে ইমতিয়াজের সব বিষয় যাচাই করেছে। লাইফ সাপোর্ট খুলে তার প্রতিক্রিয়া ভালো। মা-বাবার সঙ্গে হালকা কথাবার্তা বলেছে এবং তাদের চিনেছে। বর্তমানে সে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে এবং তার জ্ঞান ১৪-১৫ পর্যায়ে আছে। তাকে আরও কয়েক দিন আইসিইউতে রাখা হবে।”
মামুনের ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তিনি শনিবার কিছুটা হাঁটতে সক্ষম হয়েছেন। তবে মাথার প্রতিস্থাপনের জন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
সম্প্রতি মামুনের হাঁটার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, তিনি হাসপাতালের করিডোরে অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটছেন এবং হাত উঁচু করে আছেন। মামুনের স্বজন ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেছেন, তাকে জোর করে সুস্থ দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, “ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে, তা কি আসল পরিস্থিতি প্রতিফলিত করছে?”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ডা. রেজাউল করিম বলেন, “মামুনকে হাঁটানো, বসানো এবং দাঁড় করানো চিকিৎসার অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সেই সময় ছবি তুলেছেন। একজন রোগী হাঁটছে, এটি খুশির খবর।”
গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর ফটক এলাকায় এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়াপাল্টি চলে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারশর বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয়দের দাবি, তাদেরও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।