ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের মোল্লাকোয়া গ্রামে রহস্যজনক কামড়ে শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করছেন, এটি কোনো ‘জ্বীন সাপের’ কামড়। ঘটনার কারণে পুরো গ্রাম এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
প্রথম ঘটনায় এক মসজিদের ইমাম রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বুকের পাশে কামড় খান। সাপে কামড়ের মতো চিহ্ন থাকলেও হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা যায়, দেহে বিষ নেই। এরপর তার স্ত্রী ও ১০ বছরের ছেলে মেহেরাব একইভাবে আক্রান্ত হন। ওঝার ঝাড়ফুঁকের পর তারা সুস্থ হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
এক মাসের মধ্যে একই গ্রামের শতাধিক মানুষ একই ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। অধিকাংশ ঘটনা রাতের সময় ঘটায় আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪ আগস্ট একই গ্রামে সাপের কামড়ে হাসিবুল হাসান জনি (৪০) মারা যান। তিনি আদালতের মুহুরি ছিলেন। বিষধর সাপ কানে কামড় দিলে ওঝার ঝাড়ফুঁকের পরও তার অবস্থা ভালো হয়নি। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ‘জ্বীন সাপ’ মানুষকে কামড়াচ্ছে। সাবেক ইউপি সদস্য আনিচুর রহমান বলেন, “আমি নিজে ১০ জনেরও বেশি রোগীকে হাসপাতালে নিয়েছি, কিন্তু ডাক্তাররা কারও শরীরে বিষ পাননি।”
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব আলহাজ রুহুল আমিন সেরওভ বলেন, “কুরআনে সরাসরি ‘জ্বীন সাপ’ বলা হয়নি। তবে জ্বীন বিভিন্ন রূপ নিতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, মাসনুন দোয়া পড়লেই উপকার হবে।”