নবী ও রাসুলগণ মানুষের জন্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ হিসেবে পাঠানো হয়েছেন। তারা মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথনির্দেশ করেছেন এবং আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষের আল্লাহকে চেনা এবং তার বিধান অনুসরণের মূল উৎস হলো নবী-রাসুলরা।
পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে:
“আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিনি তাদের মধ্যে থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যে তার আয়াতগুলো তাদের তিলাওয়াত করে, তাদের পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।” (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৬৪)
আল্লাহ তায়ালা পাঠানো সকল নবী-রাসুলই মানবজাতির জন্য অনুগ্রহ। তবে সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ হলো আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে। পবিত্র কোরআনে তিনি বিশ্বজগতের জন্য হেদায়েত হিসেবে পাঠানো প্রমাণিত:
“আমি তোমাকে বিশ্বের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।” (সুরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পুরো বিশ্বের জন্য হেদায়েত বলা হলো কারণ আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নবী-রাসুলদের মাধ্যমে তা যুগে যুগে পূর্ণতা পেয়েছে। সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত পূর্ণতা এসেছে মহানবী (সা.)-এর দ্বারাই।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে মনোনীত করলাম।” (সুরা মায়িদা, আয়াত ৩)
এইভাবে নবী-রাসুলরা মানবজাতির প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ এবং দিকনির্দেশনার মাধ্যম।