ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগ তুলে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক নারীকে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মামলার প্রধান আসামি বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. কবির হোসেন (৫৫), একই ওয়ার্ডের আব্দুর রশিদ (৬০), মো. ইসমাইল (২৪), মেহেদি হাসান (২১) ও মো. সিরাজ (২৮)।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সোহান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের বাটামারা গ্রামে ওই নারীকে প্রথমে মারধর করা হয়, পরে তার মাথার চুল কেটে ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে জনসমক্ষে হেনস্তা করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপি নেতা মো. কবির হোসেন জনতার উপস্থিতিতে নিজ হাতে ওই নারীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ সময় তিনি বলেন, “সে অপকর্ম করেছে, তাই শাস্তি হিসেবে চুল কেটে দিয়েছি ও গলায় জুতার মালা পরিয়েছি।” অন্যরা ঘটনাটি দেখে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকে।