“আসামি ধরে যদি শাস্তি দিতে না পারেন, তাহলে আইন উপদেষ্টা চেয়ারে বসে আছেন কেন? পদত্যাগ করুন। উপদেষ্টারা আসনে বসে আছেন কেন? আমরা কেন এখনো বিচারের জন্য ঘুরছি?”—এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আমরা ২৪ জুলাই যোদ্ধা’ নামের সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম ইমন এবং সঞ্চালনা করেন জুলাইয়ে আহত মো. আল মিরাজ।
শহীদ সায়েমের মা শিউলি আক্তার বলেন, “আমার ছেলে সায়েম গত বছরের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এর পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। হত্যাকারী পুলিশদের আজও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। আসামিদের ধরা হলেও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না কেন? আইন উপদেষ্টা পদে বসে আছেন কেন? আমাদের ছেলেরা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে, আজ বিচার চাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হবে—এটাই কি স্বাধীনতার মানে?”
আহত শারমিন আক্তার বলেন, “আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়িনি, দেশের পরিবর্তনের জন্য লড়েছি। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও পাইনি স্বাধীনতা, পাইনি অধিকার। আমাদের ভাইয়েরা এখনও হাসপাতালে কষ্ট পাচ্ছে, অথচ ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আপনাদের কাছে কি আরও রক্ত চাই? আমরা জুলাই সনদ চাই, শুধু নিজেদের জন্য নয়—১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য। এসি রুমে বসে নয়, আপনারা সেই পরিবারগুলোর কাছে যান যারা একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কি এখনো ফ্যাসিবাদী মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে? আমাদের অধিকার দিন, আমাদের হয়রানি করবেন না। আমরা বারবার তথ্য জমা দিই, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয় না। প্রয়োজনে সিস্টেম পরিবর্তন করুন।”
আহত সায়মান শাহাদাত বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। আসামিরা কেন মুক্তভাবে ঘুরছে, এর উত্তর আমরা চাই। আর পুলিশের দেওয়া মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।”
“বিচারহীনতায় ক্ষুব্ধ শহীদ পরিবারের আহ্বান: আসামিদের শাস্তি না দিলে উপদেষ্টারা পদত্যাগ করুন
“আসামি ধরে যদি শাস্তি দিতে না পারেন, তাহলে আইন উপদেষ্টা চেয়ারে বসে আছেন কেন? পদত্যাগ করুন। উপদেষ্টারা আসনে বসে আছেন কেন? আমরা কেন এখনো বিচারের জন্য ঘুরছি?”—এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আমরা ২৪ জুলাই যোদ্ধা’ নামের সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম ইমন এবং সঞ্চালনা করেন জুলাইয়ে আহত মো. আল মিরাজ।
শহীদ সায়েমের মা শিউলি আক্তার বলেন, “আমার ছেলে সায়েম গত বছরের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এর পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু কোনো বিচার হয়নি। হত্যাকারী পুলিশদের আজও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। আসামিদের ধরা হলেও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না কেন? আইন উপদেষ্টা পদে বসে আছেন কেন? আমাদের ছেলেরা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছে, আজ বিচার চাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হবে—এটাই কি স্বাধীনতার মানে?”
আহত শারমিন আক্তার বলেন, “আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়িনি, দেশের পরিবর্তনের জন্য লড়েছি। কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও পাইনি স্বাধীনতা, পাইনি অধিকার। আমাদের ভাইয়েরা এখনও হাসপাতালে কষ্ট পাচ্ছে, অথচ ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আপনাদের কাছে কি আরও রক্ত চাই? আমরা জুলাই সনদ চাই, শুধু নিজেদের জন্য নয়—১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য। এসি রুমে বসে নয়, আপনারা সেই পরিবারগুলোর কাছে যান যারা একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কি এখনো ফ্যাসিবাদী মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে? আমাদের অধিকার দিন, আমাদের হয়রানি করবেন না। আমরা বারবার তথ্য জমা দিই, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয় না। প্রয়োজনে সিস্টেম পরিবর্তন করুন।”
আহত সায়মান শাহাদাত বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। আসামিরা কেন মুক্তভাবে ঘুরছে, এর উত্তর আমরা চাই। আর পুলিশের দেওয়া মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।”