ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ তানভীর বারী হামীম। ফলাফল ঘোষণার পর তিনি শিক্ষার্থীদের দেওয়া রায়কে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় হামীম লিখেন, “শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন এটাই তাদের রায়, তবে আমি সেই রায়কে সম্মান জানাই। এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন, আর আমি সেই সিদ্ধান্তকেই মেনে নিচ্ছি।”
তবে তিনি দাবি করেন, ভোটগ্রহণ ও গণনার সময় কিছু অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। তার ভাষায়, “সার্বিকভাবে ভোটের দিনটি উৎসবমুখর হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে ভোট গণনার সময় ইভিএম মেশিনে ত্রুটি, কারচুপি ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হামীম আরও লেখেন, “প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমি সবসময় আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আপনাদের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”
ফল ঘোষণার পরপরই তার এই প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গেলেও হামীমের এমন ঘোষণা গণতান্ত্রিক চেতনা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটার ছিলেন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।