শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর তুলনা বিরল উল্লেখ করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বুধবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সিরাত বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সিরাতুন নবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নবী করিম (সা.) এর জীবন, আদর্শ ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ইতিহাসে বিরল। আমরা তাঁর নীতিকথা ও উদাহরণ শুনি, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তিনি নিজেই সেই নীতিগুলো অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি শুধুমাত্র কথায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কাজের মাধ্যমে নীতি প্রমাণ করেছেন।
ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসনকে উদাহরণ হিসেবে তুলে তিনি বলেন, বর্তমান সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ ও বৈষম্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। শিশু হত্যাসহ গণহত্যার ঘটনা ঘটে, অথচ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা দেশগুলো এই বর্বরতা সমর্থন করছে। তিনি প্রশ্ন করেন, নবী করিম (সা.) এর সময় কি এমন কোনো যুদ্ধ ঘটেছিল যেখানে শিশুরা নিহত হতো? মহানবীর শিক্ষা অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি, ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মদিনা সনদ আজও বিশ্বের ইতিহাসে একটি রোল মডেল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহানবী (সা.) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। গবেষণার ফলাফল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে মহানবীর শিক্ষা ও নীতিমালা আরও বিস্তৃতভাবে পৌঁছে।